বাহুবল থানাসূত্রে জানা যায়, সাজিদ মিয়া নামে এক যাত্রী তার গ্রামের বাড়ি ভেড়াখাল যাওয়ার উদ্দেশে ইজিবাইকে উঠেন। তিনি ১০ টাকা ভাড়া দিলে চালক সালমান মিয়া আরও ৫ টাকা দাবি করেন। চালকের বাড়ি সাতপাড়িয়া গ্রামে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে উভয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
বিষয়টি গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়।
খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দাঙ্গা বন্ধ করতে পুলিশ ৭ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছুড়ে বলে জানান বাহুবল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম। ৪ ঘন্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
দোকানপাটে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে বাহুবল উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া খাতুন জানান মোট ৫৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ২ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাহুবল মডেল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থতি বর্তমানে স্বাভাবিক হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি।
বাহুবল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন- ইজিবাইক ভাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।