শনিবার , ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আইসিটি
  7. আজকের পত্রিকা
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. ইসলাম
  12. ইসলাম ও জীবন
  13. একদিন প্রতিদিন
  14. এশিয়া
  15. কৃষি

২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর এক–তৃতীয়াংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে

প্রতিবেদক
surmaparerkotha
ডিসেম্বর ৭, ২০২৪ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

সুরমা পারের কথা ডেস্কঃ

 

জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা না হলে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন অব্যাহত থাকলে। নতুন এক গবেষণায় এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প বিপ্লবের গড় তাপমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বৃদ্ধি পায়, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে প্রজাতির বিলুপ্তির হার দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বিশেষত উভচর প্রাণী, পাহাড়, দ্বীপ এবং বিশুদ্ধ পানির বাস্তুসংস্থানগুলোতে, এবং দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি বিলুপ্ত বেশি হবে।

শিল্প বিপ্লবের পর পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১ দশমিক ৮ ফারেনহাইট) বেড়েছে। জলবায় পরিবর্তন তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ধরণের পরিবর্তন ঘটায়, যা বাস্তুসংস্থান এবং প্রজাতির সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারণে পরাগায়নকারী উদ্ভিদের প্রস্ফুটিত হওয়ার সঙ্গে প্রজাপতির স্থানান্তরের মিল নেই। অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি তাদের বাসস্থান পরিবর্তন করছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে। জীবনধারণের জন্য আরও অনুকূল তাপমাত্রা পেতে তারা শীতল অঞ্চলে বা উচ্চস্থানের দিকে চলে যাচ্ছে।

কিছু প্রজাতি পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভিযোজন বা স্থানান্তর করতে সক্ষম হলেও এই তীব্র পরিবর্তনে টিকে থাকতে পারে না অনেক প্রজাতি। এর ফলে প্রজাতির জনসংখ্যা কমে যায় এবং কখনো কখনো বিলুপ্তও হয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা, দশ লাখেরও বেশি প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে প্রজাতির বিলুপ্ত হওয়া কীভাবে সম্পর্কিত তা এখনো স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।

নতুন গবেষণাটি গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন গবেষণায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জীববৈচিত্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য বিশ্লেষণ করেছে। এখানে ৪৫০ টিরও বেশি গবেষণা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা অধিকাংশ পরিচিত প্রজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

যদি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো না গেলে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ লাখ ৮০ হাজার প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে।

তবে যদি জলবায়ু মডেলের তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৯ ফারেনহাইট (২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস) বাড়লে বিশ্বের প্রতি ২০টি প্রজাতির মধ্যে ১টি প্রজাতি বিলুপ্ত হবে।

এই সীমার বাইরে সম্ভাব্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আরও বেশি সংখ্যক প্রজাতির বিলুপ্ত হতে পারে। যেমন: ৭ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৪ দশমিক ৩ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্ত হতে পারে এবং ৯ দশমিক ৭ ফারেনহাইট (৫ দশমিক ৪ সেলসিয়াস) তাপমাত্রা বাড়লে পৃথিবীর প্রায় ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে পড়বে।

কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী মার্ক আরবান লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা প্রজাতির সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়।

আরবান বলছেন, আমরা যদি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ,বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারি, তাহলে খুব বেশি প্রজাতিবিলুপ্ত হবে না। তবে ২ দশমিক ৭ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, এই হার দ্রুত বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের প্রজাতি সবচেয়ে বড় হুমকির সম্মুখীন। উভচর প্রাণী সবচেয়ে বেশি বিপদে, কারণ তাদের জীবনচক্র আবহাওয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং তারা বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ও খরার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। পাহাড়ি, দ্বীপ ও সুপেয় পানির বাস্তুসংস্থানগুলোও প্রজাতিও সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ বিচ্ছিন্ন পরিবেশ তাদের প্রজাতির জন্য প্রতিকূল। তাদের পক্ষে স্থানান্তর এবং আরও অনুকূল জলবায়ু সন্ধান করা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

এই গবেষণার ফলাফল নীতি নির্ধারকদের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আরবান আশা করেন। তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের জন্য মূল বার্তা হলো—জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রজাতির বিলুপ্তি সম্পর্ক এখন আরও বেশি নিশ্চিত। কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার এখন আর কোনো অজুহাত নেই, কারণ এই প্রভাবগুলো আগে অনিশ্চিত ছিল।’

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

এর আগে ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেয় তাঁরা। পরে এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এ ঘটনায় বাংলাদেশ ‘গভীরভাবে ক্ষুব্ধ’। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাসপাতাল ও চেম্বারে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। সর্বপ্রথম কলকাতার জে এন রায় হাসপাতাল এবং সর্বশেষ ত্রিপুরার আগরতলার আইএলএস হাসপাতাল এ ঘোষণা দেয়। এরপর পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির এক চিকিৎসক বলেন, তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু এর আগে ভারতীয় পতাকায় প্রণাম করে তাঁর চেম্বারে প্রবেশ করতে হবে। চন্দ্রনাথ অধিকারী নামের আরেক চিকিৎসক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, তিনি সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। সেখানে সবাইকে চিকিৎসা দেবেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে কোনো বাংলাদেশি রোগীকে দেখবেন না। তবে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল (ডব্লিউবিএমসি) বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া বন্ধের বিষয়টিকে সমর্থন করেনি। ডব্লিউবিএমসির সভাপতি ড. সুদীপ্ত রায় বলেছেন, তাঁরা রোগীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেন না। সবার চিকিৎসা করবেন। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পক্ষে অধিকাংশ ভারতীয় চিকিৎসকবাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার পক্ষে অধিকাংশ ভারতীয় চিকিৎসক গত মাসের মাঝামাঝি ঢাকার বিমানবন্দরে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং পরদিন তাঁকে আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রামে সহিংসতায় আইনজীবীর প্রাণহানির পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং তাঁর ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখে ভারত। এর পর থেকে দেশটিতে বাংলাদেশি রোগী ও পর্যটকের সংখ্যা কমতে থাকে।

শ্রমিকদের বিক্ষোভে সিলেটে ১২ বাগানে চা উৎপাদন বন্ধ

সিলেটে হাই-টেক পার্কের প্রকল্প বাতিল, ৩২৪ কোটি টাকাই জলে

৮ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

সিলেট সিটির সাবেক কাউন্সিলর লায়েক গ্রেফতার

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে দ্বিগুণ

ইতিহাস গড়লেন জ্যোতি

সা’দপন্থী নেতা নূরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

৩ মামলায় কারাগারে আ.লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী, বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানি